আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা এক যুগেরও বেশি সময় পর জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি ফের তিন শতাংশের ওপরে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে। সবশেষ ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে সেখানে মূল্যস্ফীতি তিন শতাংশ ছাড়িয়েছিল। খবর ডয়েচে ভেলের।
পরিসংখ্যান সংস্থা ডিস্ট্যাটিস জানিয়েছে, ২০২০ সালে ছয় মাসের কর অব্যাহতি জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। করোনা মহামারি শুরুর পর পণ্যের চাহিদা কমে গেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৯ শতাংশ এবং সাত শতাংশ থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ১৬ শতাংশ এবং পাঁচ শতাংশ করেছিল জার্মান সরকার। চলতি বছরের শুরুতে দোকানপাট আবার খুলে দেয়ার পর আগের ভ্যাট হার ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এছাড়া, জ্বালানির দাম বৃদ্ধিও মূল্যস্ফীতির আরেকটি হিসেবে কারণ ধরা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে জার্মানিতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে দাম জ্বালানির দাম। যেসব গ্রাহক জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করেন, গত জানুয়ারি থেকে তাদের প্রতি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্য বাড়তি ২৫ ইউরো করে বেশি দিতে হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতি পরিমাপে সাধারণত এক বছর আগের একই সময়ের সঙ্গে পণ্যমূল্যের তুলনা করা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, কোনো পণ্য বা সেবার দাম সময়ের সঙ্গে কতটা বেড়েছে তা মূল্যস্ফীতি দিয়ে বোঝা যায়। তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন না বাড়লে অনেকের ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
ঐতিহাসিক কারণে জার্মানদের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ে একধরনের ভীতি রয়েছে। চরম মূল্যস্ফীতির কারণে ১৯২০ সালের দিকে দেশটির অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে ভাইমার রিপাবলিক ও নাৎসি বাহিনী ক্ষমতায় আসে।